This is this sidebar for a particular page. It can be edited by editing a page from within the control pannel.
১"এগুলো সেই আইন যা তুমি তাদের সামনে উপস্থাপন করবে।"
ঈশ্বর মোশি বা মূসাকে আদেশ দিচ্ছেন যে, ইসরায়েলীয়দের জন্য এই নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করতে হবে।
২"যদি তুমি কোনো হিব্রু দাস কেনো(ক্রয়), তবে সে ছয় বছর কাজ করবে। কিন্তু সপ্তম বছরে সে বিনামূল্যে চলে যাবে, তাকে কিছুই দিতে হবে না।"
একজন ইসরায়েলীয় যদি দারিদ্র্যের কারণে নিজেকে বিক্রি করে দাস হয়ে যায়, তবে তাকে ছয় বছর কাজ করতে হবে। কিন্তু সপ্তম বছরে সে সম্পূর্ণ স্বাধীন হবে, তার জন্য কোনো মুক্তিপণ দিতে হবে না।
৩ "যদি সে একা (নিজে)আসে, তবে সে একাই (নিজেই)চলে যাবে; কিন্তু যদি তার স্ত্রী থাকে, তবে স্ত্রীও তার সাথে যাবে।"
যদি দাস একাই দাসত্বে প্রবেশ করে, তবে মুক্ত হওয়ার সময়ও সে একাই মুক্ত হবে। কিন্তু যদি সে বিবাহিত অবস্থায় দাস হয়, তবে তার স্ত্রীও তার সাথে মুক্ত হবে।
৪ "যদি তার মালিক তাকে একজন স্ত্রী দেন এবং সে সন্তান জন্ম দেয়, তবে স্ত্রী ও সন্তান মালিকের হবে, এবং শুধুমাত্র লোকটি মুক্তি পাবে।"
যদি দাস তার মালিকের দেওয়া স্ত্রীর সাথে বিবাহিত হয়, তাহলে স্ত্রী এবং সন্তান মালিকের সম্পত্তি হিসেবেই থাকবে, কারণ স্ত্রী আগে থেকেই মালিকের ছিল।
৫ "কিন্তু যদি দাস বলে, ‘আমি আমার মালিক, স্ত্রী এবং সন্তানকে ভালোবাসি এবং আমি মুক্ত হতে চাই না,"
দাস যদি স্বেচ্ছায় দাসত্ব চালিয়ে যেতে চায়, তবে তার জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা থাকবে।
৬ "তবে তার মালিক তাকে বিচারকদের কাছে নিয়ে যাবে। তাকে দরজার কাছে বা দরজার ফ্রেমের কাছে দাঁড় করিয়ে একটি সুচ দিয়ে তার কান ফুটিয়ে দেবে। এরপর সে আজীবন সেই মালিকের দাস হয়ে থাকবে।"
দাসত্ব স্থায়ী করার জন্য একটি প্রতীকী রীতি ছিল, যেখানে কানে ছিদ্র করা হত, যা দেখাতো যে সে আজীবন মালিকের দাস হয়ে থাকছে।
নারী দাসদের আইন
৭ "যদি একজন লোক তার মেয়েকে দাস হিসেবে বিক্রি করে, তবে সে পুরুষ দাসদের মতো মুক্তি পাবে না।"
একজন হিব্রু মেয়ে দাসকে পুরুষ দাসদের মতো ছয় বছর পর মুক্তি দেওয়া হবে না। কারণ নারী দাসদের সাধারণত স্ত্রী বা উপপত্নী হিসেবে গ্রহণ করা হতো।
৮ "যদি সে তার মনিবের কাছে গ্রহণযোগ্য না হয়, যে তাকে নিজের জন্য নির্ধারণ করেছিল, তবে তাকে উদ্ধার করার সুযোগ দিতে হবে। সে তাকে বিদেশী জাতির কাছে বিক্রি করতে পারবে না, কারণ এতে সে তার প্রতি অবিচার করেছে।"
যদি মালিক নারী দাসটিকে নিজের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করে, তবে তাকে বিক্রি করতে পারবে না, বরং তার পরিবারকে সুযোগ দিতে হবে তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য।
৯ "যদি সে তাকে নিজের পুত্রের জন্য নির্ধারণ করে, তবে তাকে কন্যার মর্যাদা দিতে হবে।"
যদি মালিক নারী দাসটিকে তার ছেলের জন্য স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে, তবে তাকে একজন কন্যার মতো মর্যাদা দিতে হবে।
১০ "যদি সে আরেকজন স্ত্রী গ্রহণ করে, তবে সে প্রথম স্ত্রীর খাদ্য, বস্ত্র এবং বৈবাহিক অধিকার কমাতে পারবে না।"
একজন ব্যক্তি যদি আরও এক স্ত্রী গ্রহণ করে, তবে প্রথম স্ত্রীর প্রতি তার দায়িত্ব কমাতে পারবে না; তাকে যথাযথ সম্মান ও যত্ন দিতে হবে।
১১ "যদি সে এই তিনটি জিনিস তাকে না দেয়, তবে সে বিনা মূল্যে চলে যেতে পারবে।"
যদি প্রথম স্ত্রী তার যথাযথ অধিকার না পায় (খাদ্য, পোশাক, দাম্পত্য অধিকার), তবে সে কোনো টাকা না দিয়েই মুক্ত হয়ে যেতে পারবে।
ব্যক্তিগত আঘাত ও শাস্তির আইন
১২ "যে কেউ কাউকে আঘাত করে হত্যা করবে, তাকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।"
ইচ্ছাকৃত হত্যার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান ছিল—হত্যাকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
১৩ "কিন্তু যদি এটি ইচ্ছাকৃত না হয় এবং ঈশ্বর যদি এটি ঘটতে দেন, তবে সে এমন একটি জায়গায় পালিয়ে যেতে পারবে যা আমি নির্ধারণ করব।"
যদি কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে কাউকে হত্যা করে, তবে সে শরণার্থীর শহরে পালিয়ে গিয়ে নিরাপত্তা পেতে পারে।
১৪ "কিন্তু যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে হত্যা করে, তবে তাকে আমার বেদী থেকেও টেনে এনে হত্যা করতে হবে।"
পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা করলে দোষী ব্যক্তি কোনো পবিত্র জায়গায় লুকিয়ে থাকলেও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
১৫ "যে কেউ তার পিতামাতাকে আঘাত করবে, তাকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।"
ইহুদিদের সমাজে পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যারা পিতামাতাকে শারীরিকভাবে আঘাত করত, তাদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হতো।
১৬ "যে কেউ কাউকে অপহরণ করবে, সে মারা যাবে, সে ব্যক্তি অপহৃতকে বিক্রি করুক বা এখনো তার অধীনে রাখুক।"
দাস বানানোর জন্য বা মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে অপহরণ কঠোর অপরাধ ছিল, যার জন্য মৃত্যুদণ্ড নির্ধারিত ছিল।
১৭ "যে কেউ তার পিতামাতাকে অভিশাপ দেবে, তাকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।"
শুধু শারীরিকভাবে আঘাত করা নয়, পিতামাতাকে অবমাননা করাও গুরুতর অপরাধ ছিল, যার জন্য মৃত্যুদণ্ড নির্ধারিত ছিল।
১৮ "যদি দুই ব্যক্তি ঝগড়ার সময় একে অপরকে পাথর বা ঘুষি মারে এবং একজন আহত হয়ে বিছানায় পড়ে থাকে,"
যদি কোনো ঝগড়ায় একজন আহত হয়ে শয্যাশায়ী হয়, তবে এটি গুরুতর বিষয় বলে বিবেচিত হতো।
১৯ "যদি সে পরে উঠে বাইরে হাঁটতে পারে, তবে যে ব্যক্তি তাকে আঘাত করেছিল সে দায়ী হবে না, তবে তাকে তার ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তার চিকিৎসার খরচ দিতে হবে।"
যদি আহত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যায়, তবে অপর পক্ষ মৃত্যুদণ্ড পাবে না, তবে তাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২০ "যদি কেউ তার দাস বা দাসীকে লাঠি দিয়ে এমনভাবে মারে যে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়, তবে তাকে শাস্তি পেতে হবে।"
দাসপ্রথা থাকলেও, দাসদের প্রতি নিষ্ঠুরতা শাস্তিযোগ্য ছিল। যদি কোনো মালিক তার দাসকে মেরে ফেলে, তবে তাকে শাস্তি পেতে হতো।
২১ "তবে যদি দাস এক-দুই দিনের মধ্যে বেঁচে থাকে, তবে মালিককে শাস্তি দেওয়া হবে না, কারণ দাসটি তার সম্পত্তি।"
যদি দাস কয়েকদিন পর মারা যেত, তবে ধরে নেওয়া হতো মালিক হত্যার উদ্দেশ্যে মারেনি। তবুও, এটি ন্যায়বিচারের কঠোরতা ও দাসদের দুরবস্থা তুলে ধরে।
২২ "যদি দুই ব্যক্তি মারামারি করার সময় একটি গর্ভবতী মহিলাকে আঘাত করে এবং সে অকাল প্রসব করে, তবে যদি গুরুতর ক্ষতি না হয়, তাহলে দোষী ব্যক্তিকে জরিমানা দিতে হবে, যা স্বামী দাবি করবে এবং বিচারক অনুমোদন করবে।"
যদি কোনো মারামারির ফলে গর্ভবতী নারী অকালপ্রসব করে কিন্তু মা ও শিশুর বড় কোনো ক্ষতি না হয়, তবে অপরাধীর জরিমানা দিতে হবে।
২৩ "কিন্তু যদি গুরুতর ক্ষতি হয়, তবে জীবন বিনিময়ে জীবন দিতে হবে,"
যদি মা বা শিশু মারা যায়, তবে অপরাধীর প্রাণদণ্ড হতে পারে।
২৪ "চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, হাতে হাত, পায়ে পা,"
শাস্তি অপরাধের সমান হবে—যেমন ক্ষতি, তেমন শাস্তি। এটি প্রতিশোধমূলক ন্যায়বিচারের (Lex Talionis) নীতি।
২৫ "পোড়ার বদলে পোড়া, ক্ষতের বদলে ক্ষত, আঘাতের বদলে আঘাত।"
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির শাস্তি অপরাধের মাত্রার সমান হবে, যাতে অতিরিক্ত কঠোরতা না হয়।
২৬ "যদি কেউ তার দাস বা দাসীর চোখ মেরে অন্ধ করে দেয়, তবে তাকে দাসকে মুক্ত করে দিতে হবে।"
যদি মালিক দাসের চোখ নষ্ট করে, তবে দাসটিকে বিনামূল্যে মুক্তি দিতে হবে।
২৭"যদি সে তার দাসের দাঁত ফেলে দেয়, তবে তাকে দাসকে মুক্ত করে দিতে হবে।"
দাসের প্রতি অমানবিক আচরণের জন্য তার মুক্তি ছিল শাস্তিস্বরূপ।
গবাদি পশুর কারণে ক্ষতির আইন
২৮ "যদি কোনো ষাঁড় কাউকে গুঁতো দিয়ে মেরে ফেলে, তবে সেই ষাঁড়কে অবশ্যই পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে এবং তার মাংস খাওয়া যাবে না। তবে ষাঁড়ের মালিক নির্দোষ থাকবে।"
যদি কোনো ষাঁড় আচমকা কাউকে মেরে ফেলে, তবে সেই পশুকে হত্যা করা হবে, কিন্তু মালিকের শাস্তি হবে না।
২৯ "তবে যদি সেই ষাঁড় আগেও মানুষকে গুঁতো দিত এবং মালিক সতর্ক থাকা সত্ত্বেও তা আটকায়নি এবং তা যদি কাউকে মেরে ফেলে, তবে ষাঁড়কে পাথর ছুড়ে মারা হবে এবং তার মালিককেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।"
যদি মালিক আগে থেকেই জানত যে তার ষাঁড় বিপজ্জনক এবং তবুও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তাকে হত্যার জন্য দায়ী ধরা হবে।
৩০ "তবে যদি তার জীবন বাঁচাতে মুক্তিপণ ধার্য করা হয়, তবে তাকে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ দিতে হবে।"
মালিকের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যদি তাকে মুক্তিপণ দিয়ে বাঁচার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে তাকে নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
৩১ "এই নিয়ম পুত্র বা কন্যার ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রযোজ্য।"
যদি ষাঁড় কোনো শিশু বা তরুণকে হত্যা করে, তবে একই নিয়ম কার্যকর হবে।
৩২ "যদি ষাঁড় কোনো দাস বা দাসীকে গুঁতো দেয়, তবে মালিককে ত্রিশ শেকেল রূপা দাসের মালিককে দিতে হবে, আর ষাঁড়কে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে।"
যদি কোনো ষাঁড় দাস বা দাসীকে মেরে ফেলে, তবে তার মালিক ক্ষতিপূরণ পাবে এবং ষাঁড়টিকে হত্যা করা হবে।
সম্পত্তির ক্ষতির আইন
৩৩ "যদি কেউ একটি কূপ খোলে বা কূপ খনন করে এবং তা না ঢেকে রাখে, এবং যদি কোনো ষাঁড় বা গাধা তাতে পড়ে যায়,"
কেউ যদি খোলা কূপ রাখে এবং অন্যের পশু পড়ে যায়, তবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৩৪ "তাহলে কূপের মালিককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; সে মৃত পশুর দেহ নিজের জন্য রেখে দেবে।"
কূপের মালিককে পশুর মূল্য দিতে হবে, তবে মৃত পশুটি তার নিজের হয়ে যাবে।
৩৫ "যদি কারও ষাঁড় অন্যের ষাঁড়কে গুঁতো দিয়ে মেরে ফেলে, তাহলে জীবিত ষাঁড়টিকে বিক্রি করে উভয়ে টাকা ভাগ করে নেবে এবং মৃত পশুটিও ভাগ করে নেবে।"
যদি পশুর কারণে ক্ষতি হয়, তবে উভয় পক্ষ ক্ষতিপূরণ ভাগাভাগি করবে।
৩৬ "তবে যদি ষাঁড় আগেও আক্রমণাত্মক ছিল এবং মালিক ব্যবস্থা নেয়নি, তবে তাকে পুরো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং মৃত পশুটিও তার হবে।"
যদি মালিক জানত যে তার ষাঁড় বিপজ্জনক এবং তবুও ব্যবস্থা নেয়নি, তবে তাকে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।