This is this sidebar for a particular page. It can be edited by editing a page from within the control pannel.
১"মিথ্যা কথা ছড়িও না। দোষী ব্যক্তির পক্ষে মিথ্যা সাক্ষী হয়ে অন্যায় করো না।"
ন্যায়বিচার রক্ষার জন্য মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
২"অন্যদের অনুসরণ করে অন্যায় করো না। মামলা-মোকদ্দমায় সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ন্যায়বিচার বিকৃত করো না এবং জনতার পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করো না।"
সংখ্যাগরিষ্ঠদের প্রভাবিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। ন্যায়বিচার সবসময় নিরপেক্ষ হতে হবে।
৩"দরিদ্র ব্যক্তির পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করো না।"
ন্যায়বিচারে দরিদ্র বা ধনী বলে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া যাবে না।
৪"যদি তোমার শত্রুর ষাঁড় বা গাধা পথ হারিয়ে ফেলে, তাহলে তাকে অবশ্যই ফিরিয়ে দাও।"
শত্রুর প্রতি দয়াশীল হওয়া উচিত এবং তার সম্পত্তি রক্ষা করতে সাহায্য করা উচিত।
৫"যদি তোমার শত্রুর গাধা তার বোঝার নিচে পড়ে যায়, তাকে সেখানেই ছেড়ে দিও না; বরং তাকে সাহায্য করো।"
শত্রুর প্রতি সহানুভূতি দেখানো এবং সাহায্য করা উচিত।
৬"গরিবদের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত কোরো না।"
দরিদ্রদের প্রতি অবিচার করা যাবে না।
৭"মিথ্যা অভিযোগে যুক্ত হয়ো না এবং নিরপরাধ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিও না, কারণ আমি দোষীদের নির্দোষ ঘোষণা করি না।"
কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া ঈশ্বরের চোখে গুরুতর অপরাধ।
৮"ঘুষ নিও না, কারণ ঘুষ বিচারকদের চোখ অন্ধ করে এবং নিরপরাধের কথাকে বিকৃত করে।"
ন্যায়বিচারে ঘুষ নেওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
৯"বিদেশীদের প্রতি অবিচার কোরো না, কারণ তোমরাও মিসরে বিদেশী ছিলে।"
পরদেশীদের প্রতি দয়া ও ন্যায়বিচার প্রদর্শন করা উচিত।
বিশ্রাম ও উপাসনার নিয়ম
১০"ছয় বছর ধরে জমিতে চাষবাস করো, কিন্তু সপ্তম বছরে জমিকে বিশ্রাম দাও”
১১”যাতে দরিদ্ররা খাবার পায় এবং বন্য পশুরাও যা অবশিষ্ট থাকে তা খেতে পারে।"
এটি দরিদ্রদের সহায়তা করার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ছিল।
১২"ছয় দিন কাজ করো, কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রাম নাও যাতে তোমার গরু, গাধা, দাস এবং বিদেশিরা বিশ্রাম নিতে পারে।"
সপ্তাহের একদিন বিশ্রাম নেওয়া মানুষের ও পশুপাখির জন্য উপকারী।
১৩"আমি যা বলেছি তা মেনে চলো। অন্য দেবতাদের নাম উচ্চারণ কোরো না।"
শুধু ঈশ্বরের উপাসনা করতে হবে, অন্য দেবতাদের স্মরণ করাও নিষিদ্ধ।
তিনটি বার্ষিক উৎসব
১৪"তিনবার উৎসব পালন করো।”
১৫ “খামিরবিহীন রুটির উৎসব পালন করো, কারণ এই মাসেই তোমরা মিসর থেকে বেরিয়েছিলে। কেউ যেন শূন্য হাতে আমার সামনে না আসে।"
ঈশ্বরের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার জন্য বার্ষিক উৎসব পালন করতে বলা হয়েছে।
১৬"ফসল কাটার উৎসব এবং বছরের শেষে ফসল সংগ্রহের উৎসব পালন করো।"
প্রাকৃতিক আশীর্বাদের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।
১৭"তিনবার বছরে সব পুরুষকে প্রভুর সামনে আসতে হবে।"
পূজা এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভের জন্য এটি ছিল বাধ্যতামূলক।
১৮"আমার উৎসর্গের রক্ত খামিরযুক্ত কিছু দিয়ে উৎসর্গ কোরো না এবং আমার উৎসর্গের চর্বি সকাল পর্যন্ত রেখো না।"
বলিদানের পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য এই নিয়ম দেওয়া হয়েছিল।
১৯"তোমার জমির প্রথম ফল ঈশ্বরের ঘরে নিয়ে আসো। ছাগলছানাকে তার মায়ের দুধে রান্না করো না।"
এটি ছিল ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নির্দেশ এবং নির্দিষ্ট খাদ্যনীতি।
ঈশ্বরের দূতের নেতৃত্ব ও আশীর্বাদ
২০”দেখ, আমি তোমার কাছে একজন দূত পাঠাচ্ছি, যে পথ দেখানোর ও রক্ষা করার জন্য এবং আমার প্রস্তুত করা স্থানে তোমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।”
২১”তাঁর কথা শোনো এবং তিনি যা বলেন তা শোনো। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করো না; তিনি তোমাদের বিদ্রোহ ক্ষমা করবেন না, কারণ আমার নাম তাঁর মধ্যে আছে।”
২২”যদি তুমি তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো এবং আমি যা বলি তা-ই করো, তাহলে আমি তোমার শত্রুদের শত্রু হব এবং যারা তোমার বিরোধিতা করবে তাদের বিরোধিতা করব।”
ঈশ্বর ইসরায়েলিদের জন্য একজন ফেরেশতা প্রেরণ করেছিলেন, যাকে অনুসরণ করলে তারা নিরাপদ থাকবে।
২৩”আমার দূত তোমাদের আগে আগে যাবেন এবং তোমাদের ইমোরীয়, হিত্তীয়, পরিষীয়, কনানীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দের দেশে নিয়ে যাবেন এবং আমি তাদের ধ্বংস করব।”
২৪”তাদের দেবতাদের সামনে মাথা নত করো না, তাদের পূজা করো না, তাদের রীতিনীতি অনুসরণ করো না। তাদের ধ্বংস করো এবং তাদের পবিত্র পাথরগুলো ভেঙে ফেলো।
অন্য জাতির দেবতা ও উপাসনাগৃহ ধ্বংস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে ইসরায়েলিরা একমাত্র ঈশ্বরের উপাসনা করে।
২৫”তোমাদের ঈশ্বর সদা ঈশ্বরের উপাসনা করো, তাহলে তিনি তোমাদের খাদ্য ও জলের উপর আশীর্বাদ করবেন। আমি তোমাদের মধ্য থেকে রোগ দূর করব।”
২৬ “এবং তোমার দেশে কারো গর্ভপাত হবে না, বন্ধ্যাত্বও থাকবে না। আমি তোমাকে পূর্ণ আয়ু দেব।”
ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকলে তিনি শারীরিক ও অর্থনৈতিক আশীর্বাদ দেবেন।
২৭“আমি তোমাদের আগে আমার ভয় পাঠাবো এবং তোমরা যাদের সামনে পড়বে তাদের সকলকে বিভ্রান্ত করব। তোমাদের সমস্ত শত্রুদের পিছন ফিরিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করব।”
ঈশ্বর ইসরায়েলিদের বিজয় দেবেন এবং শত্রুদের দূর করবেন।
২৮”আমি তোমার আগে ভীমরুল পাঠাবো, যাতে হিব্বীয়, কনানীয় এবং হিত্তীয়রা তোমার পথ থেকে তাড়িয়ে দেয়।”
ইসরায়েলিরা ধাপে ধাপে নতুন ভূমি দখল করবে যাতে তা শূন্য হয়ে না যায়।
২৯”কিন্তু আমি এক বছরের মধ্যে তাদের তাড়িয়ে দেব না, কারণ দেশটি জনশূন্য হয়ে পড়বে এবং বন্য পশুরা তোমাদের জন্য অনেক বেশি হবে।”
৩০”তোমাদের দেশ অধিকার করার জন্য যতক্ষণ না তোমরা সংখ্যায় বৃদ্ধি পাও, ততক্ষণ আমি ধীরে ধীরে তাদের তোমাদের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেব।”
৩১"আমি লোহিত সাগর থেকে ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত তোমার সীমানা নির্ধারণ করব এবং তোমার শত্রুদের পরাস্ত করব।"
ঈশ্বর ইসরায়েলিদের প্রতিশ্রুত ভূমি প্রসারিত করার আশ্বাস দিচ্ছেন।
৩২"তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি কোরো না, কিংবা তাদের দেবতাদের সঙ্গে কোনো আপস কোরো না।"
ঈশ্বর ইসরায়েলিদের সতর্ক করছেন যেন তারা প্রতিশ্রুত দেশে বসবাসকারী অন্যান্য জাতির সাথে কোনো চুক্তি না করে।
৩৩"তাদের তোমাদের দেশে থাকতে দিও না, কারণ তারা তোমাকে আমার বিরুদ্ধে পাপে প্ররোচিত করবে। তাদের দেবতাদের উপাসনা করা তোমার জন্য ফাঁদ হয়ে যাবে।"
অন্য জাতিদের ধর্মীয় প্রথা ও দেবতাদের উপাসনার মধ্যে প্রবেশ করলে ইসরায়েলিরা ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে পড়তে পারে।তাই, তাদের দেশ থেকে অন্য জাতিদের সরিয়ে দেওয়া এবং একমাত্র সত্য ঈশ্বরের উপাসনা নিশ্চিত করা জরুরি।এই নির্দেশ মূলত ইসরায়েলিদের আত্মিক শুদ্ধতা বজায় রাখার জন্য দেওয়া হয়েছিল, যাতে তারা অন্য ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে।